১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্তমানে দেশে কোন আইন নেই ইউপি সদস্য মানিক মিয়া

ষ্টাফ রিপোর্টার :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মানিক মিয়ার বিভিন্ন অপকর্মের হোতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন বর্তমান দেশে কোন আইন কানুন নাই। আমি যা করছি বুঝে শুনেই করছি। আপনারা (সাংবাদিক) বাদ থাকবেন কেন, আমার সাথে কথা বলেন যা চান দিয়ে সমঝোতা করি। তার এমন মন্তব্যে বেশ হতভম্ব হয়ে পড়েন উপস্থিত লোকজন।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার আবুরকান্দি গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মানিক মিয়ার অপর্কমের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিলে জানা যায়, ইউনিয়ন যুবলীগের এই নেতা বাংলাদেশ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের ভাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন খান ওপেলের ডান। এই মানিককে ১নং ওয়ার্ডে প্রভাব খাটিয়ে মেম্বার বানিয়েছেন নিখিল খানের ভাই। সেই সুত্র ধরে আবুরকান্দি, মনুরকান্দি, ভাইগারচর সহ কয়েকটি গ্রামে তার অপকর্মের শেষ নেই। অন্তর্ভুর্তিকালীন সরকারের আমলেও তিনি তার অপকর্ম বন্ধ করেন নি।
স্থানীয় এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন, যুবলীগ নেতা মানিক মিয়ার কারণে এলাকার যুবসমাজ নস্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে তিনি মাদক পৌঁছে দিচ্ছেন। এলাকার কতিপয় যুবকদের ব্যবহার করে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা। আবুরকান্দি গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে ঝন্টুকে দিয়ে প্রতি রাতে ইয়াবা টেবলেটের চালান বিক্রি করছেন। গাঁজা ইয়াবাসহ নানান ধরনের মাদকদ্রব্যের ব্যবসা করে যাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এলাকায় অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা, জমি দখল, মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানি সহ সকল ধরনের অপকর্ম করে এলাকা ধ্বংস করে দিচ্ছেন ইউপি সদস্য মানিক মিয়া।
তার ছত্রছায়ায় ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অবৈধ ড্রেজিং ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। অবাদে কৃষি জমি নস্ট করে তা পরিত্যক্ত জমিতে রুপান্তর করার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। আরো জানা গেছে, ৫ আগস্টের আন্দোলনের সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর অনেক অত্যাচার ও নির্যাতন করেছেন তিনি। আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের মারধরেরও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত মানিক মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে কোন আইন কানুন নেই। আমি যা বলছি বুঝে শুনেই বলছি। আমি যা করছি প্রশাসন আমার ব্যাপারে সব জানে। প্রশাসনকে অনেক আগে থেকেই আমার পকেটে রেখেছি। আপনারা সাংবাদিক আসছেন কথা বলি, আমার সাথে থাকেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মতলব উত্তরে প্রায় ৫ হাজার কোরবানী পশু প্রস্তুত : দাম নিয়ে শংকায় খামারিরা

বর্তমানে দেশে কোন আইন নেই ইউপি সদস্য মানিক মিয়া

Update Time : ০৬:২১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

ষ্টাফ রিপোর্টার :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মানিক মিয়ার বিভিন্ন অপকর্মের হোতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন বর্তমান দেশে কোন আইন কানুন নাই। আমি যা করছি বুঝে শুনেই করছি। আপনারা (সাংবাদিক) বাদ থাকবেন কেন, আমার সাথে কথা বলেন যা চান দিয়ে সমঝোতা করি। তার এমন মন্তব্যে বেশ হতভম্ব হয়ে পড়েন উপস্থিত লোকজন।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার আবুরকান্দি গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মানিক মিয়ার অপর্কমের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিলে জানা যায়, ইউনিয়ন যুবলীগের এই নেতা বাংলাদেশ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের ভাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন খান ওপেলের ডান। এই মানিককে ১নং ওয়ার্ডে প্রভাব খাটিয়ে মেম্বার বানিয়েছেন নিখিল খানের ভাই। সেই সুত্র ধরে আবুরকান্দি, মনুরকান্দি, ভাইগারচর সহ কয়েকটি গ্রামে তার অপকর্মের শেষ নেই। অন্তর্ভুর্তিকালীন সরকারের আমলেও তিনি তার অপকর্ম বন্ধ করেন নি।
স্থানীয় এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন, যুবলীগ নেতা মানিক মিয়ার কারণে এলাকার যুবসমাজ নস্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে তিনি মাদক পৌঁছে দিচ্ছেন। এলাকার কতিপয় যুবকদের ব্যবহার করে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা। আবুরকান্দি গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে ঝন্টুকে দিয়ে প্রতি রাতে ইয়াবা টেবলেটের চালান বিক্রি করছেন। গাঁজা ইয়াবাসহ নানান ধরনের মাদকদ্রব্যের ব্যবসা করে যাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এলাকায় অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা, জমি দখল, মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানি সহ সকল ধরনের অপকর্ম করে এলাকা ধ্বংস করে দিচ্ছেন ইউপি সদস্য মানিক মিয়া।
তার ছত্রছায়ায় ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অবৈধ ড্রেজিং ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। অবাদে কৃষি জমি নস্ট করে তা পরিত্যক্ত জমিতে রুপান্তর করার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। আরো জানা গেছে, ৫ আগস্টের আন্দোলনের সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর অনেক অত্যাচার ও নির্যাতন করেছেন তিনি। আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের মারধরেরও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত মানিক মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে কোন আইন কানুন নেই। আমি যা বলছি বুঝে শুনেই বলছি। আমি যা করছি প্রশাসন আমার ব্যাপারে সব জানে। প্রশাসনকে অনেক আগে থেকেই আমার পকেটে রেখেছি। আপনারা সাংবাদিক আসছেন কথা বলি, আমার সাথে থাকেন।