গত মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি - ২০২৫ ইং তারিখে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, সরকার শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করে আমাদের অন্তরের দাবি পূরণ করেছে। যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালিত হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বিডিআর হত্যাকান্ডের তদন্ত ও বিচার কাজ নিয়ে শহীদ পরিবারের মাঝে আস্থার অভাব ছিলো। বর্তমান সরকার পুনরায় তদন্ত করছে, আমরা আশা করছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে তদন্ত ও বিচার কাজ হবে। ২৫ শে ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং দোয়া মুনাজাত করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের গণমাধ্যম কর্মীদের একথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, এখন একটা নতুন ধরনের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। যেমন, বিগত সরকার যেগুলো ভালো বলেছে এখন তাকে খারাপ বলা হচ্ছে। তখন যেগুলো খারাপ বলা হয়েছে, এখন তাকে ভালো বলা হচ্ছে। বিগত সরকার যেটাকে হ্যাঁ বলেছে, বর্তমানে তাকে না বলা হচ্ছে। বিগত সরকার যেটাকে না বলেছে, এখন সেটাকে হ্যাঁ বলা হচ্ছে, ঢালাওভাবে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত ও বিচারকার্য সম্পন্ন হলে শহীদ পরিবারগুলো সন্তুষ্ট হবেন বলে মনে করি। তিনি বলেন, আমিও শহীদ পরিবারের সদস্য বলা যায়। আমার ভাগ্নে (বোনের ছেলে) শহীদ কর্নেল কুদরত-ই-এলাহী রহমান শফিক। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার সময় হয়েছিলো, সে মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞে শহীদ হয়েছে। আমার সেই প্রিয় ভাগ্নের জন্য সব সময় অন্তরে ব্যাথা অনুভব করি। শহীদ পরিবারের মনোযন্ত্রণা যাতে লাঘব হয় সেলক্ষ্যে সবাই কাজ করবেন এ প্রত্যাশা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিল জাতীয় পার্টি কো চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্য, ভাইস-চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।