মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হিমেল উদ্দিন মোল্লা শিমুলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবী সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার দক্ষিণ গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির স্বোচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হিমেল উদ্দিন মোল্লা শিমুল।
তিনি বলেন, আমি শ্রমিক দলের নেতা জাবেদ হোসেন এদের নামে স্থানীয় কিছু প্রত্রিকায় ও অনলাইনে মতলব উত্তরে ঠিকাদারি কাজের বালু জোড় পূর্বক নেওয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, কল্পনাতিত, গায়েবী এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। আমরা উক্ত সংবাদে আনিতো অভিযোগের প্রতি তীব্রতর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংঘঠনের বর্তমান ও সাবেক সকল সিনিয়র জুনিয়র নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন যে, ১১ নং পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়নের অন্তগত ৯নং ওয়ার্ড গাজীপুর গ্রামে অবস্থিত উদ্যমদী পাম্প হাউজ সংলগ্ন উদ্যান মাঠে বিগত দিনে গাজীপুরের এলাকার লোকজন বালির ব্যবসা করে আসছিলো। ২০১৮ সালের অবৈধ নির্বাচনের পর অবৈধ এমপি নুরুল আমিন রুহুল ও তার আপন ছোট ভাই অবৈধ ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ এর পিএস নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাটার ডেবিল আমিনুল ইসলাম গাজীপুরবাসী বালির ব্যবসা জোরপূর্বক দখল করে টাকার অংকে ১৫,০০,০০০/- (পনের লক্ষ টাকার) বালি ব্যবসা নিজের ব্যবসা বলে চালিয়ে দেন। দীর্ঘ (৬) বছরে স্থানীয় মানুষকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন নিপিরন করে এবং সম্পদ লুটপাট করে। আমাদের ফসলি জমি গাজীপুর মৌজার ৩৭৯ নং খতিয়ানে ১৫৭৩ দাগে ১৫ শতাংশ জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে দেয়। আমরা জমি বাবদ ১৭,০০০,০০০/- (সতের লক্ষ) টাকা ক্ষতিসাধন হই। এর কারন জানতে চাইলে ঐ সময় ডেবিল আমিনুল ইসলাম ভয়ভীতি ও প্রাণনাধের হুমকি দেয়। আমাদের জমির ক্ষতিসাধন নিয়ে মতলব উত্তর থানার সরনাপন্ন হই, থানার গেইট থেকে ফেসিস্ট হাছিনার দোষর ডেবিল আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বিতারিত করে দেয়। ৫ই আগষ্টের পর আমার জমির ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণ ও দলিল সহ আদালতে মামলা দায়ের করি, যা চলমান।
শিমুল আরও বলেন, ৫ই আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার অনুর্ধানের পর ডেবিল আমিনুল ইসলাম গা ঢাকা দেয়। পুনরায় গাজীপুর বাসি ও স্থানীয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি ও অংঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা নিজের টাকায় বালি ক্রয় ও বিক্রয় ব্যবসা সুরু করেন। ব্যবসা সুরুর ৭/৮ দিন পর মতলব উত্তর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল আহম্মেদ সোহেল প্রাইভেটকার যোগে গাজীপুরের পাম্প হাউজ সংলগ্ন উদ্যান মাঠে উপস্থিত হয়ে, বালি ব্যবসায়ী শ্রমিক দলের নেতা জাবেদ হোসেন ও স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্র দলের সহ-সভাপতি হাবিবুল বাশার এবং ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রধান এর কাছে মাসিক মাসোয়ারা চাঁদা হিসেবে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা দাবি করে। দার্যকৃত ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা প্রতিমাসে দিতে ব্যর্থ গঠলে ১ সাপ্তাহ পর পুরো ব্যবসা দখল করবে বলে হুমকি দেয় এবং কাউকে জানালে বা প্রশাসনের সরানপন্ন হলে প্রাননাষের হুমকি দিয়ে চলে যায়, নিজেকে মতলব উত্তর উপজেলা যুবদলের সেক্রেটারী পরিচয় দেওয়া ফয়সাল আহম্মেদ সোহেল এবং তার সহযোগি মতলব উত্তর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ। এমতবস্থায় শ্রমিক দলের নেতা জাবেদ হোসেন এ ঘঠনার বিষয়ে আমাকে অবহিত করে।
১ সপ্তাহ পরে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল আহম্মেদ সোহেল ও যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দার্যকরা চাঁদা প্রতিমাসে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা না পাওয়ার জবাব শ্রমিক দলের নেতা জাবেদ হোসেন ও ওয়ার্ড সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রধানের কাছে না পেয়ে, পরের সপ্তাহে রোজ শুক্রবার সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী কায়দায় দলবল নিয়ে বালির ব্যবসা দখল করার জন্য সাইনভোট নিয়ে গাজীপুর উদমদী পাম্প হাউজ উদ্যান সংলগ্ন মাঠে হাজির হয়। তাদের অবস্থানের কথা এলাকাবাসির কাছে পৌছে যায় দ্রুত গতিতে। তখন স্থানীয় গাজীপুরের বৈষম্ব বিরুদী ছাত্র সমাজ, যুবসমাজ মা-বোনেরা ও প্রবিন ব্যক্তিবর্গ ও শত শত লোক জন ঘর থেকে বের হয়ে গাজীপুর উদ্যান বালির মাঠে যাওয়ার রাস্তায় বের হলে জনমানুষের জনরোশের খবর পেয়ে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের চাড়িকান্দি গ্রামের উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল সোহেল ও ২০/২২ কিলোমিটার দূরের নাউরী গ্রামের উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ দলবল নিয়ে প্রাণ ভায়ে দ্রুত গতিতে স্থান ত্যাগ করেন বা পালিয়ে যান। ঘটনার পরের দিন উক্ত গাজীপুর পাম্প হাউজ উদ্যান সংলগ্ন বালির মাঠে এলাকার বৈষম্য বিরোধী ছাত্রসমাজ যুবসমাজ, মা-বোনেরা ও গর্নমান্য বক্তিবর্গ নিয়ে প্রায় ৫০০ শত লোকের উপস্থিতিতে এক বিশাল মানববন্ধের আয়োজন করা হয়। উক্ত মানববন্ধনে ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি জনাব দেলোয়ার হোসেন প্রধান, ইউপি ছাত্র দলের সহ-সভাপিত হাবিবুল বাশার, শ্রমিক দলের নেতা জাবেদ হোসেন মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্র দলের নেতা আল-আমিন মোল্লা ইউপি যুব দলের সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মা- বোনেরা তাদের অভিযোগ উপস্থিত সংবাদিক বন্ধুদের কাছে বক্তব্য আকারে উপস্থাপন করেন। উক্ত মানববন্ধনে শেষে গাজীপুর বাসির বালির ব্যবসা দখলকারী ফয়সাল সোহেল, আব্দুল আজিজের কুশপত্তলিকা পোড়ানো হয়।
চাঁদপুর-২ নির্বাচনী এলাকার সাংগঠনিক অভিভাবক ও জনমানুষের নেতা আমার পিতৃতুল্য অভিভাবক বিএনপির জাতীয় নিবাহী কমিটির সদস্য আলহাজ ডাঃ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন সাহেবের আহব্বানে গুলশান-২ নম্বরে নেতার বাসায় মিটিংয়ে কৃঠকৌসল অবলম্ভন করে মতলব উত্তর উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল সোহেল ও উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ অবৈধ এমপি রুহুল আমিন ও অবৈধ ইইপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের পিএস নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাটার ডেবিল আমিনুল ইসলাম এর সাথে বালির চুক্তি নামার কথা উপস্থাপন করলে উপস্থিত সকলের চাপাহাসির রোল পরে যায়। পরে আলহাজ ডাঃ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ভাইয়ের নির্দেশ ক্রমে উপজেলা বিএনপি ও অংঙ্গ সহযোগি সংগঠনের উপস্থিতিতে পাঁচ সদস্য বিধিষ্ট জুরিবোর্ডের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের অগ্রগতি হয়।
দীর্ঘ প্রায় ৭মাস পর আমাদের টাকায় কেনা বালি ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসার নামে, বিভিন্ন স্থানীয় পত্র পত্রিকায় জোড়পূর্বক ঠিকাদারী কাজে বালির বেচা কেনার যে মিথ্যা, বিভ্রান্তী মূলক, গায়েবী, অপতথ্য ও মানহানিকর অভিযোগ আলহাজ ভাঃ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ভাইয়ের নেতৃত্বকে চাঁদপুর-২ নির্বাচনি এলাকায় দূর্বল করার জন্য ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং আমার দীর্ঘ সংগ্রামমুখর স্বচ্ছ রাজনৈতিক ইমেজ নিয়ে যারা গভীর স্বরজন্তে লিপ্ত হয়ে পর্দার আরাল থেকে কল কাঠি নারছেন। তাদের মুখষ একদিন উন্মচিত হবে, মতলব উত্তর উপজেলার মাটিতে। আমি অনতিবিলম্বে আনিত অভিযোগ সাংবাদিক বন্ধুদের উপস্থিতিতে এবং সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিচার প্রার্থনা করছি, চাঁদপুর-২ নিবাচী এলাকার সাংঘঠনিক অভিভাবক আলহাজ ডাঃ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন সাহেব এর কাছে এবং উপজেলা বিএনপি সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে ও সর্বস্থজনগনের কাছে।
মোঃ হিমেল উদ্দিন মোল্লা শিমুল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয় সম্পাদক, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপি।