আরাফাত আল-আমিন :
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ষাটনল ইউপির সাবেক সদস্য বশির আহমেদকে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার (১৬ মে) সকালে সটাকী বেরীবাঁধের উপরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
এসময় মানববন্ধনকারীরা বলেন, পরিকল্পিত ভাবে ইউপি সদস্য বশির আহমেদকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বশির মেম্বার একজন জনবান্ধন লোক। তিনি এলাকাবাসীর স্বার্থে কাজ করে থাকেন। এমন একজন ভাল মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ জানাই।
বক্তারা আরো বলেন, গত ৯ মে সটাকী গ্রামের কামাল সরকারের ৬ বছরের ছেলে হোসাইন মোহাম্মদ প্রতিবেশীর মুন্ডাফল গাছ থেকে পড়ে পা ভেঙ্গে ফেলেছে। ওই ঘটনাটি বশির আহমেদ মেম্বার শিশু হোসাইন মোহাম্মদকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে মর্মে মিথ্যা ও বানোয়াটি সাজিয়ে চাঁদপুর আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন ওই শিশুর পিতা কামাল সরকার। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা এই মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার চাই। এবং একজন জনপ্রতিনিধিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ষাটনল ইউপির ২নং ওয়ার্ড সদস্য বুলু খান, ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার আক্কাস আলী মোল্লা, ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মোশারফ হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার জসিম উদ্দিন, ষাটনল ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য কামরুজ্জামান বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য এনামুল হক রিপন, শরীফ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কাউছার আহমেদ মুক্তার, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি খোকন বেপারী, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএ রুবেল, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হানিফ প্রধান, ছেংগারচর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহমান মুন্না সহ এলাকার শত শত নারী পুরুষ।
জানা গেছে, গত ৯ মে বশির আহমেদের বিরুদ্ধে তার প্রতিবেশী মৃত জাহাঙ্গীর সরকারের ছেলে কামাল হোসেন তার শিশু ছেলে হোসাইন মোহাম্মদকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে ফেলেছে মর্মে অভিযোগ তুলে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। একই দিনে ঘটনা সাজিয়ে কামালের ছোট ভাই জামাল সরকার তার রান্না ঘরে আগুন দিয়ে এবং গাছ কেটে ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলেন বশির আহমেদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। এবং গত ২৫ এপ্রিল কামালের চাচাতো ভাই বশির আহমেদ গংদের বিরুদ্ধে মারামারি ঘটনা দেখিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বশির আহমেদকে প্রধান বিবাদী করে এই তিনটি মামলা দায়ের করেছেন তারা।
সাবেক ইউপি সদস্য বশির আহমেদ বলেন, আমাদের সাথে কামাল গংদের জায়গা নিয়ে মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় আমরা আদালতের রায় পেয়েছি। সেই থেকে তারা আমাদেরকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও আমাদের গ্রামে পাউবোর ফিসারী রয়েছে ওই ফিসারীগুলো মসজিদের নামে দেওয়া ব্যাপারে আমার সমর্থন থাকায় তারা আমার সাথে শত্রুতা করছে। গত ৯ মে কামালের ছেলে ফল গাছ থেকে পড়ে পা ভেঙ্গেছে অথচ ঘটনাকে মিথ্যা সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই দিনে জামালের ঘরে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরে। ওই ঘটনাকেও মিথ্যা সাজিয়ে তারা আমাকে হয়রানি করছে। বিজ্ঞ আদালতের উপর আমার আস্থা আছে, আশা করি আমি ন্যায় বিচার পাবো।