
আরাফাত আল-আমিন :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাত পোহালেই হাটে উঠবে কোরবানি পশু। এবারে কোরবানি পশুর তেমন ঘাটতি নেই। তবে দাম নিয়ে আংশকায় আছেন খামারিরা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার মতলব উত্তর উপজেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৫ হাজার ২০০ টি। এরমধ্যে প্রস্তুত আছে ষাঁড় ২ হাজার ৭০টি, বলদ ৯১০ টি, গাভী ৬৯৮ টি সহ মোট ৩ হাজার ৬৭৮ টি গরু। পাশাপাশি মহিষ ৬ টি, ছাগল ৯৩০ টি, ভেড়া ১১৭ ও অন্যান্য গবাদি পশু ৫টি সহ মোট ৪ হাজার ৭৩২ টি কোরবানি পশু প্রস্তুত হয়েছে। আর ঘাটতি আছে ৪৬৮ টি।
উপজেলার কয়েকটি খামারে ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানি পশু বিশেষ করে গুর মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। সবুজ ঘাস ও অন্যান্য খাদ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে গরু সব ধরনের পরিচর্যায় কাজ করছেন তারা। নান্দুরকান্দি আঃ কাদির মোল্লা এগ্রো এন্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্তাধিকারী আঃ মালেক মোল্লা বলেন, আমি গত বছর অনেক টাকা লোকসানে ছিলাম। তাই এবার ২০টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। আমার এখানে ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে প্রায় আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যের গরু আছে। আমি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করেছি। আশা করি ন্যায্য দামে গরু বিক্রি করতে পারবো। তবে বাইরের গরু ঢুকলে এবার খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ভাইগারচর ন্যাচার রেঞ্জ এগো’র প্রোপাইটর হাবিবুল্লাহ হাসান বলেন, আমরা সম্পূর্ন ন্যাচারাল পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করেছি। আমাদের এখানে ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত গরু আছে। আমাদের গরু বেশিরভাগই অনলাইনে বিক্রি হয়ে যায়। তবে এবার গো খাদ্যের দামটা বেশি হওয়ায় আশানুরূপ দাম নিয়ে আংশকায় আছি।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, ২৬০ টি খামারে প্রায় গরু ৩ হাজার ৬৭৮ টি এবং অন্যান্য পশু মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার ৭৩২ টি পশু কোরবানি জন্য প্রস্তুত আছে। তবে এরমধ্যে ৪৬৮ টি কোরবানি পশু ঘাটতি আছে। এটা তেমন বেশি সংখ্যা নয়। এটা অন্য উপজেলা থেকে সমন্বয় হয়ে যাবে। আমাদের উপজেলায় প্রস্তুত করা পশুগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে বড় করা হয়েছে। কেননা আমরা সার্বক্ষণিক খামারিদের তদারকি করেছি এখনো অব্যাহত আছে। একটি প্রাণীকে যদি অবৈধভাবে ইনজেকশন অথবা মোটা করার জন্য ঔষধ খাওয়ানো হয় এতে করে ওই প্রাণীটার যেমন মৃত্যু ঝুঁকি আছে তেমনি এর মাংস আহারে মানুষেরও স্বাস্থ্য ঝঁকি আছে। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি আমাদের নির্দেশনা অমান্য করে আমাদের অগোচরে কোন খামারি এই ধরণের কাজ করে তাহলে অবশ্যই তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।